চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা কিসের জন্য বিখ্যাত তা জেনে নিন।
NOYON
৩ এপ্রি, ২০২৪
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা বাংলাদেশের আমের রাজধানী হিসেবে পরিচিত, কারন গ্রীষ্মকালীন এই ফলটি চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার অর্থনীতির প্রধান উৎস।চাপাইনবাবগঞ্জ জেলার অধিকাংশ জমি বিভিন্ন ধরনের আমের গাছে ভরপুর থাকে।এ সময় এই এলাকার লোক আম চাষ করে অনেক লাভবান হয়।এই জেলাটির সবচেয়ে বেশি আম উৎপন্ন হয় শিবগঞ্জ, ভোলাহাট,নাচোল ও গোমস্তাপুর উপজেলায়। চাঁপাইনবাবগঞ্জের মানুষ তার নিজস্ব ভাষায় কথা বলতে ভালোবাসে। তাই বাইরে জেলাগুলো আমাদের ভাষা ঠিক মত বুঝতে পারে না এমনকি আমরাও তাদের ভাষা ঠিক মতো বসতে পারি না।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার আমের জন্য বিখ্যাত। চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার সর্বাধিক মানুষ কৃষিকাজের উপর নির্ভরশীল। এই জেলার অধিকাংশ লোক কৃষি পেশায় নিয়োজিত। চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার অনেক মানুষ জীবিকার জন্য দেশের বিভিন্ন স্থানে কাজ করে থাকে। জেলার অধিকাংশ জমি বিভিন্ন ধরনের আমের গাছের ভরপুর থাকে। আর এই আম গাছ থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার মানুষ গ্রীষ্মকালীন সময়ে বেশ ভালো লাভবান হয়।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা কিসের জন্য বিখ্যাত
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা আম চাষের উপর নির্ভরশীল। প্রত্যেক বছর এই চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে আম সরবরাহ করে থাকে। চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা বিখ্যাত হল আম চাষের জন্য। জেলার মানুষ কৃষি কাজ করে থাকে দেশের বিভিন্ন স্থানে গিয়ে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে। চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় আছে সোনা মসজিদ স্থলবন্দর থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে পাথর সরবরাহ করে থাকে। এই স্থলে বন্দর দিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে পেঁয়াজ, মরিচ, আদা , রসুন ও বিভিন্ন ধরনের ফলমূল আমদানি করে থাকে। আরো আছে সোনামসজিদ , ষাট গম্বুজ মসজি্দ , চামাচিকা মসজিদ , মাজার শরীফ ইত্যাদি আরো অনেক দর্শনীয় স্থান। এইসব দর্শনীয় স্থান দেখতে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে অনেক দর্শনা থেকে এসে থাকে। সোনামসজিদ স্থলবন্দরে ঘুরতে এসে অনেক পর্যটক বিশ্রাম নেয়ার জন্য অনেক রকম গেস্ট হাউস বানান হয়াচে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার মোট পাঁচটি উপজেলা। উপজেলাগুলো হল গোমস্তাপুর নাচোল ভোলাহাট শিবগঞ্জ। এগুলো নিয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার কর্মসূচি পালন করা হয়। চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ থানায় অবস্থিত সোনামসজিদ স্থল বন্দর। এই স্থলবন্দর দিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে ভারত থেকে আসা পেঁয়াজ আদা মরিচ চ ইত্যাদি মালামাল সরবরাহ করা হয়। আরো ইনপুট করা হয় পাথর। যা দেশের বিভিন্ন স্থানে আমদানি ও রপ্তানি করে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার নাচোল ভোলাহাট এই উপজেলা গুলোতে ধান চাষ করা হয় এর ফলে শিবগঞ্জ থানার মানুষ ধান কেটে বাড়ি নিয়ে আসে। আমাদের চাঁপাইনবাবগঞ্জের মানুষ তাদের নিজস্ব ভাষা নিয়ে কথা বলতে ভালোবাসে। এর কারণে হয়তো বাইরের জেলাগুলো আমাদের ভাষা শুদ্ধভাবে বুঝতে পারে না এমনকি আমরাও তাদের ভাষা বুঝতে পারি না।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার রাস্তাঘাট কেমন
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা রাস্তাঘাট গুলো হল সাধারণ মানুষের যাতায়াতের রাস্তা। কিন্তু সোনামসজিদ স্থলবন্দর হওয়ার কারণে সেখানকার ট্রাক পাথর বোঝায় গাড়িগুলো রাস্তায় চলাচলের কারণে রাস্তার অনেক ক্ষতি হয়। চাঁপাইনবাবগঞ্জের এই রাস্তায় প্রতিনিয়ত অনেক গাড়ি এক্সিডেন্ট করে। এই এক্সিডেন্টের কারণে অনেক পরিবার অসহায় হয়। এ রাস্তায় গ্রীষ্মকালীন সময়ে অনেক জ্যাম হয় কারণ সে সময় আমের জন্য রাস্তা ব্লক হয়ে থাকে। এর ফলে সাধারণ মানুষ অনেক ভোগান্তির শিকার হয়। চাঁপাইনবাবগঞ্জ টু সোনামসজিদ এই রাস্তাটুকু যদি ফোর লেন করা হয় তাহলে হয়তো অনেকের পরিবার বেঁচে যেত। তাই চাঁপাইনবাবগঞ্জের এ রাস্তাগুলো যাতে খুব তাড়াতাড়ি করলেন এর ব্যবস্থা করা হয়।
আমাদের চাঁপাইনবাবগঞ্জের গ্রামের রাস্তাগুলো অনেক ভালো। এখন থেকে দুই তিন বছর আগে গ্রামের রাস্তাগুলো ছিল কাঁচা তাই বৃষ্টির কারণে সাধারণ জনগণের চলাফেরা করতে সমস্যা হতো। এখন বর্তমানে গ্রামের রাস্তাগুলো অনেক ভালো হয়েছে । রাস্তাঘাটের পাশাপাশি বীজ কালভার্ট গুলো অনেক উন্নত হয়েছে ।
সোনামসজিদে বীরশ্রেষ্ঠ মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর এর সমাধি আছে। চাপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার শাহবাজপুর ইউনিয়নে ছোট সোনামসজিদ প্রাঙ্গণে চিরনিদ্রায় সাহিত্য আছেন সাতজন বিরের মধ্যে অন্যতম শহীদ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর। বাংলার এই বীর সন্তান হাজার ১৯৭১ সালে মহানন্দা নদীর কাছে শত্রুর প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সং ধ্বংস পরকালীন প্রতিপক্ষ শত্রু বুলেটের আঘাতে শহীদ হন। পরে পীর শ্রেষ্ঠ মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর এর সমাধি সোনামসজিদ প্রাঙ্গণে সাহিত্য করা হয়। ১৯৭১ সালে মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর যুদ্ধ চলাকালীন সময়ে শত্রুপ প্রতিরক্ষা করতে গিয়ে শত্রুর বুলেটের আঘাতে শহীদ হন। বরিশালের রহমতগঞ্জ গ্রামে জন্ম গ্রহণ করা বাংলার এই বীর সন্তান আমাদের দেশের গর্ব যিনি নিজের জীবন দিয়ে আমাদের এই স্বাধীনতা বাংলাদেশ গড়ে তুলেছেন।
সোনা মসজিদে কয়টি মাজার আছে
সোনা মসজিদে দুইটি মাজার আছে। সেগুলো হল তোহাখানা মাজার ,শাহ নেয়ামত উল্লাহ মাজার শরীফ। এখানে প্রতি বছর শুক্রবারের দিন এক বিশাল মেলার আয়োজন করা হয়। এই মেলার নাম হলো গোদরি সুখার মে লা। সেখানে বিভিন্ন স্থান থেকে পর্যটকরা এসে এই মেলায় অংশগ্রহণ করে। মেলাটি চলে দুইটি শুক্রবার নিয়ে। এই মাজারে আছে শাহ নেয়ামত উল্লাহ এর কবর। এখানে দূরদূরান্ত থেকে দর্শনার্থী এসে মহিলারা নামাজ পড়ে ও বিভিন্ন ধরনের মানত মেনে বিভিন্ন ধরনের পশুপাখি নিয়ে আসে। যেমনঃ হাঁস, মুরগ, কবুতর গরু ছাগল ইত্যাদি।
আমাদের সমাজে অনেক ধরনের মানুষ আছে যারা এই মাজার পূজারীকে বিশ্বাস করে। এগুলো করা হারাম কাজ। সোনা মসজিদের এই মাজার গুলো অনেক বছর পুরনো আমাদের মাঝে স্মৃতি হয়ে আছে। কিন্তু মানুষ এটাকে মাজার পূজারী হিসাবে গণ্য করে। তোয়াখানা মাজারে অনেকগুলো কবর দেখা যায় যেগুলো অনেক বছর পুরণো।
শেষ কথা
চাঁপাইনবাবগঞ্জ নিয়ে আপনাদের সামনে অনেক কিছু তুলে ধরেছি। তার মধ্যেও হয়তো অনেক কিছু তুলে ধরতে পারিনি যার কারণে আপনাদের চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা ঘুরে যাওয়ার আমন্ত্রণ রইল।
ইতিমধ্যে হয়তো জেনে গেছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ এর পর্যটন কেন্দ্রগুলো কোথায় কোথায় রয়েছে।
সোনা মসজিদ কে ঘিরে দুইটি দৃষ্টিনন্দন পার্ক গড়ে উঠেছে। যেগুলো হলো রংধনু পার্ক ও শিশু পার্ক। চাঁপাইনবাবগঞ্জের মানুষ তার নিজস্ব ভাষা নিয়ে কথা বলতে ভালোবাসে। তাইতো দেশের বিভিন্ন স্থানে আমাদের চাঁপাইয়ের ভাষা বললে তারা চিনে ফেলে যে এরা চাঁপাইনবাবগঞ্জের মানুষ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url