২০২৪ সালে কোরবানি করার গুরুত্ব ও ফজিলত সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন ?
ইসলামী শরীয়তের ভাষায় আল্লাহর উদ্দেশ্যে মহান আল্লাহর নামে কোন কিছু উৎসর্গ
করার নামই কোরবানি। আল্লাহর উদ্দেশ্যে কোন কিছু উৎসর্গ করাকে কোরবানি
বলে।
সূচিপত্রঃ ২০২৪ সালে কোরবানি করার গুরুত্ব সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন ?
-
কুরবানী করার নিয়ম
- কুরবানী করার ফজিলত
- কুরবানির পশুর বয়স
- কুরবানী করা কি ওয়াজিব
- কুরবানি শব্দের অর্থ কি
- কাদের উপর কুরবানি করা ওয়াজিব
- কুরবানির সাথে আকিকা দেওয়া যাবে কি
- ইসমাইল (আঃ) এর কুরবানীর ঘটনা
- কুরবানীর গোশত বন্টনের নিয়ম
- কুরবানীর পশু কেমন হতে হবে
- কুরবানির গরুর দাঁত
- মৃত ব্যক্তির নামে কুরবানী
- আমাদের শেষ কথা
কুরবানী করার নিয়ম
কুরবানি অর্থ আত্মত্যাগ উৎসর্গ বা বিসর্জন করাকে কুরবানী বলা হয়। আল্লাহ তাআলার নৈকট্য লাভের আশায় এই কুরবানী করা হয়। আল্লাহ তাআলা বলেন তোমাদের কোরবানির এক ফোটা রক্ত ও আমার কাছে পৌঁছবে না আমার কাছে পৌঁছাবে তোমাদের ত্যাগ স্বীকার বিসর্জন । আল্লাহ তাআলার কাছে কুরবানীর উদ্দেশ্য হল ত্যাগ স্বীকার করা।
পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে দশই জিলহজ মাসের ১০ থেকে ১২ তারিখের মধ্যে মহান রাব্বুল আলামিন এর নৈকট্য লাভের আশায় এই কুরবানী করা হয়। কুরবানী করার জন্য চোতল পথ জন্তু যবেহ করা হয়। কুরবানী করার সময় সূরা কাওসার বলা হয়। কুরবানী করো তোমার প্রতি পালকের উদ্দেশ্যে ও সালাত আদায় করা কুরবানী করা ওয়াজিব।
২০২৪ সালে কুরবানী করার গুরুত্ব ও ফজিলত সম্পর্কে আজকের আলোচনা এ বিস্তারিত সম্পর্কে জানানো হবে। কুরবানী করা হয় আল্লাহর সন্তুষ্ট লাভের জন্য এই কুরবানী করতে নির্দিষ্ট একটি পশু জবাহ করলে কুরবানী হয়ে যায়। আল্লাহ তাআলা বলেন তোমাদের কোরবানির কোন কিছুই আমার কাছে পৌঁছাবে না পৌঁছাবে শুধু আমল।
প্রচলিত অর্ধে কুরবানী হলো পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে আমাদের কুরবানী দেওয়া যাতে করে আল্লাহ তাআলা সন্তুষ্ট লাভ করে। কোরবানি আমাদেরকে শিক্ষা দেয় আল্লাহর প্রেমের সন্তুষ্ট হয়ে কোরবানি করতে হবে। আল্লাহর প্রতি ভালোবাসা ও তাকওয়ার নিয়ে প্রিয় বস্তুকে বা প্রাণীকে জবেহ করার মাধ্যমে কোরবানি সম্পূর্ণ হয়ে থাকে।
কুরবানী করার ফজিলত কী
কোরবানি করার ফজিলত হলো আল্লাহ তালাকে সন্তুষ্ট করার জন্য একটি হালাল পশু জবাই হোক করার মাধ্যমে কোরবানি করা হয়। নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন যে ব্যক্তি কুরবানী করার সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও কুরবানী করে না সে ব্যক্তি যেন ঈদগাহের নিকটবর্তী না হয়। আল্লাহতায়ালা কে সন্তুষ্ট করার জন্যই কুরবানী করা।
- কুরবানীর করার মাধ্যমে আল্লাহ তায়ালাকে খুশি করা যায়।
- কোরবানি উদ্দেশ্যে তাকওয়া অর্জন করা যায়। এতে আমাদের ঈমান আমল ঠিক থাকে।
- তাকওয়ার মাধ্যমে আমাদের আত্মা পরিশুদ্ধ হয়ে থাকে।
- কুরবানী আমাদের শিক্ষা দেয় আল্লাহর প্রেমে পূর্ণ তাকওয়া নিয়ে কুরবানী করতে হয়।
- কুরবানী করার ফজিলত হলো আল্লাহ তাআলাকে রাজি খুশি করানো।
- কোরবানির দিন কোরবানি করা মহান রব্বুল আলামীনের কাছে সবচেয়ে বেশি পছন্দের।
কুরবানী করার ফজিলত হলো আমাদের আল্লাহ তায়ালার নিকটবর্তী হওয়া কোরবানির উদ্দেশ্যে তা অর্জন করা আমাদের ঈমান আমল ঠিক থাকে কোরবানি আমাদের শিক্ষা দেয় আল্লাহর প্রেমে পূর্ণতা কুয়া নিয়ে কুরবানী করতে হয় একটি হালাল পশু জবাই করার মাধ্যমে কোরবানির সম্পূর্ণ হয়ে থাকে। আমাদের উচিত কোরবানি করা।
কোরবানি করা ওয়াজিব কারণ আল্লাহ তালাকে সন্তুষ্ট করার জন্যই এই কুরবানী করা হয়। কুরবানী করা মুসলিম এর জন্য ওয়াজিব। আল্লাহ তাআলাকে কুরবানী পড়া হয়। আল্লাহ তাআলা বলেন তোমাদের কুরবানীর মাংস কসম রক্ত আমার কাছে কিছুই পৌঁছাবে না পৌঁছাবে তোমাদের ঈমান আমল ও তাকওয়া আমাদের উচিত।
কুরবানির পশুর বয়স
কুরবানীর পশুর বয়স কুরবানী করার গুরুত্ব সম্পর্কে আজকে বিস্তারিত আলোচনার মধ্যে রয়েছে কুরবানীর পশুর বয়স সম্পর্কে জানানো হবে। ইতিমধ্যে আপনারা জানেন যে কোরবানি করার ওয়াজিব আমাদের দেশে গরু ছাগল এর মাধ্যমে বেশি কোরবানি করা হয়। এরমধ্যে রয়েছে বাংলাদেশের বেশ কিছু জায়গায় ঊট দিয়ে কোরবানি করা হয়।
- উটের বয়স
- গরুর বয়স
- ছাগলের বয়স
উটের বয়স ঃ কোরবানির পশুর বয়স এর মধ্যে রয়েছে উটের সর্বনিম্ন পাঁচ বছর হতে হবে তাহলে কুরবানীর জন্য এটি হালাল প্রাণী হিসেবে ধরা যায়। কুরবানীর পশু যাতে কোন ধরনের রোগ বালাই না থাকে এর থেকে খেয়াল রাখতে হবে। মোট সাধারণত আমাদের দেশে প্রায় বিরল কোরবানি হয়। যাদের সামর্থ্য আছে তারাই হয়তো উট কিনে এনে কুরবানী দিয়ে থাকে ।
গরুর বয়স ঃ গরুর বয়স সর্বনিম্ন দুই বছর হতে হবে তাহলে এটি কুরবানীর জন্য হালাল হয়ে যাবে কুরবানী করতে হলে আমাদের খেয়াল রাখতে হবে। আমাদের খেয়াল রাখতে হবে যে গরুর বয়স এর সাথে সাথে যাতে গরুর কোন ধরনের রোগ বালাই না থাকে। গরু সাত ভাগে ভাগ করে কোরবানি দিয়ে থাকে এটির দিকে খেয়াল রাখতে হবে।
ছাগলের বয়সঃছাগল আমাদের দেশে প্রায় বেশি পরিমাণে ছাগল কোরবানি দেওয়া হয়। এর কারণ হলো সবাই গরু কোরবানি দিতে পারে না অনেক মধ্যবিত্ত পরিবার আছে যারা ছাগল কোরবানি দিয়ে থাকে। ছাগলের বয়স এক বছর হতে হবে।ছাগল যদি বাড়িতে বসে কুরবানী দেওয়া হয় এতে সব বেশি পাওয়া যায়। ছাগল কোরবানি দেওয়াই ভালো।
আমাদের দেশে কুরবানী করার গুরুত্ব ফজিলত সম্পর্কে আপনাদের বিস্তারিত জানানো হবে এর মধ্যে রয়েছে কোরবানির পশুর বয়স সীমা নির্ধারিত করার মাধ্যমে আমাদের কোরবানি সম্পন্ন করা হয়। কুরবানি দেয়া হয় আল্লাহকে খুশি করার জন্য তাই আমাদের খেয়াল রাখতে হবে যাতে কুরবানীর পশু ও হালাল ও অন্য ধরনের রোগ বালাই যাতে না থাকে।
আমাদের দেশে অনেক এলাকায় ছাগল কোরবানি হয়ে থাকে এর মধ্যে মেয়ে ছাগলের বিষয়টি হল অনেক সময় দেখা যায় বাজার থেকে কিনে আনার পরে দেখা যায় কোরবানি দেওয়ার পরে পেটে বাচ্চা এ সম্পর্কে বলা যায় যে পেটের বাচ্চা যদি পরিপূর্ণ হয়ে থাকে তাহলে সেটিও খাওয়া যায়। তাই আমাদের কোরবানির পশু কেনার সময় খেয়াল রাখতে হবে।
কুরবানী করা কি ওয়াজিব
কোরবানি করা ওয়াজিব কারণ আল্লাহ তালাকে সন্তুষ্ট করার জন্যই এই কুরবানী করা হয়। কুরবানী করা মুসলিম এর জন্য ওয়াজিব। আল্লাহ তাআলাকে কুরবানী পড়া হয়। আল্লাহ তাআলা বলেন তোমাদের কুরবানীর মাংস কসম রক্ত আমার কাছে কিছুই পৌঁছাবে না পৌঁছাবে তোমাদের ঈমান আমল ও তাকওয়া আমাদের উচিত।
নবী করীম সাল্লাল্লাহু সাল্লাম বলেন যে ব্যক্তি সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও কোরবানি করলো না সে ব্যক্তি যেন ঈদগাহের নিকটবর্তী না হয়। এতে করে বোঝা যায় যে কোরবানি না করলে আমাদের কত বড় ক্ষতি হয় তাই আমাদের উচিত কোরবানি করা কোরবানি করা ওয়াজিব এবার কি আমাদের বুঝানো হয় যে কোরবানি না করলে আমাদের ঈমান আমল ঠিক থাকে না।
আরো পড়ুনঃঘুমানোর আগে খেজুর খেলে কি হয় তা বিস্তারিত জানুন?
কোরবানির দিন কোরবানি করা মহান রাব্বুল আলামিনের কাছে সবচেয়ে বেশি পছন্দের। কোরবানির পশুর রক্ত ভূমিতে পতিত হওয়ার আগেই আল্লাহ তায়ালার দরবারে কবুল হয়ে যায় কোরবানি করার উদ্দেশ্যে যে পশু জবেহ করা হয় এই পশুর রক্ত ভূমিতে পতিত হওয়ার আগেই আল্লাহতালা কোরবানির কবুল করে নেয়। তাই আমাদের উচিত অবশ্যই কোরবানি করা।
কুরবানী কারীর কিয়ামতের দিন কোরবানি কৃত পশুর চামড়া রক্ত ইত্যাদি আল্লাহতালার দরবারে পেশ করা হবে। এতে করে আমরা বুঝতে পারি যে আল্লাহ তা'আলা আমাদেরকে কুরবানীর গুরুত্ব কতটা দিয়েছে কোরবানির সাথে সাথে আমাদের ঈমান আমল ঠিক রাখতে হবে না হলে কুরবানী আল্লাহ তা'আলা কবুল করবেন না। যে ব্যক্তি কোরবানির দেওয়ার সামর্থক থাকার পরে কোরবানি দেয় না।
কোরবানির শব্দের অর্থ কি
করবুন শব্দের অর্থ আত্মত্যাগ উৎসর্গ বা বিসর্জন তাকে কুরবানী বলা হয়। প্রত্যেক মুসলিম ব্যক্তির জন্য কুরবানী করা ওয়াজিব। কুরবানী করে আল্লাহ তায়ালাকে সন্তুষ্ট লাভের আশায় কুরবানী করা হয়। তাই আমাদের উচিত আল্লাহ তায়ালাকে রাজি খুশি করানোর জন্য কুরবানী করা। কোরবানি শব্দের অর্থ কুরবুন। আত্মত্যাগপুত স্বর্গ বা বিসর্জন করে তাকে কুরবানী বলা হয়।
- আত্মত্যাগ করার জন্য
- উৎসর্গ করার জন্য
- বিসর্জন দেওয়ার জন্য
- আল্লাহ তায়ালাকে খুশি করার জন্য
- আল্লাহ তায়ালা সন্তুষ্ট লাভের জন্য
- কুরবানী করা প্রত্যেক মুসলিমের জন্য ওয়াজিব
আল্লাহকে রাজি খুশি করার জন্যই এই কুরবানি দেওয়া হয়। আল্লাহ তাআলার কাছে আমাদের এই কোরবানির গুরুত্ব ও ফজিলত অনেক। কোরবানির করার গুরুত্ব ফজিলত সম্পর্কে আজকের এই বিস্তারিত আলোচনা করা হচ্ছে। কারণ আল্লাহ তায়ালার কাছে কোরবানি করা পশুর চামড়া রক্ত মাংস কিছুই পাওয়া যায় না পৌঁছায় শুধু কুরবানী করাবেন ঈমান আমল ও তাকওয়া।
কোরবানি করা প্রত্যেক মুসলিমের জন্যও ওয়াজিব। জিলহজ মাসের ১০ তারিখ কোরবানি দিন ধরা হয়। এই দিনে কুরবানী করলে আল্লাহ তা'আলা সন্তুষ্ট হয়। আল্লাহ তাহলে কি রাজি খুশি করার জন্য এ কোরবানি করা। যে ব্যক্তির ঈমান আমল ঠিক থাকে না সে ব্যক্তির কোরবানি হবে না । যারা সুদের টাকায় কুরবানী দেয় তাদের কুরবানী আল্লাহ তায়ালা কবুল করবেন না।
কোরবানি করা ওয়াজিব কারণ আল্লাহ তালাকে সন্তুষ্ট করার জন্যই এই কুরবানী করা হয়। কুরবানী করা মুসলিম এর জন্য ওয়াজিব। আল্লাহ তাআলাকে কুরবানী পড়া হয়। আল্লাহ তাআলা বলেন তোমাদের কুরবানীর মাংস কসম রক্ত আমার কাছে কিছুই পৌঁছাবে না পৌঁছাবে তোমাদের ঈমান আমল ও তাকওয়া আমাদের উচিত।
কাদের উপর কুরবানী করা ওয়াজিব
কাদের উপর কুরবানী করা ওয়াজিব এ সম্পর্কে বলা যায় যে আমাদের দেশে অনেক উচ্চবিত্ত পরিবার আছে যারা একটি পরিবারে অনেকগুলো কোরবানি দিয়ে থাকে। আর অনেক পরিবার আছে মধ্যবিত্ত যারা একটি পরিবারে একটি কুরবানী দিয়ে থাকে। প্রত্যেকটি পরিবারের জন্যই খুব একটি করে কুরবানী করা ওয়াজিব। একটি করে কুরবানী দেওয়া হল আমাদের জন্য ওয়াজিব কাজ।
আমাদের নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন যাদের সামর্থ্য আছে তারা অনেকগুলো কুরবানী দেওয়া যাদের সামর্থ্য নেই তারা একটি পরিবারে একটি কুরবানী দিলে আল্লাহতালা কবুল করে নেন। আমাদের মধ্যে অনেক পরিবার রয়েছে যারা কুরবানী করতে পারে না আমাদের উচিত যারা উচ্চবিত্তরা বেশি কোরবানি দেয় ।
আমাদের দেশের প্রচলিত আছে যে একটু পরিবারে একটি কোরবানি দেওয়া। এদেরকে কুরবানির মাংস ভাগ বন্টনের মাধ্যমেই আমাদের কুরবানী সম্পন্ন হয়ে থাকে কোরবানির মাংস তিন ভাগে ভাগ করা হয় একভাগ আত্মীয়-স্বজন যারা কোরবানি দেয়নি, এক ভাগ দেয় যারা কুরবানী দিতে পারেনি এক ভাগ নিজেদের খেতে হয়।
কুরবানী করার ফজিলত হলো আল্লাহকে রাজি খুশি করানোর জন্যই আমাদের এই কুরবানীর আয়োজন করা হয়। কুরবানী দিয়ে আমাদের আল্লাহ তালাকে খুশি করে আল্লাহতালার নিকট আমাদের সন্তুষ্ট লাভ করতে হবে। যারা লোক দেখানো তাদের কুরবানী আল্লাহ তায়ালা পছন্দ করেন না এবং এই কুরবানী আল্লাহ তায়ালার কাছে পৌঁছাবে না।
কোরবানির সাথে আকিকা দেওয়া যাবে কি
কোরবানির সাথে আকিকা দেওয়া যাবে কিনা এই সম্পর্কে কোরবানি করে গুরুত্বপূর্ণ ও ফজিলত এর মধ্যে রয়েছে। কুরবানি অর্থ হল কুরবুন যা আমাদের আত্মত্যাগ উৎসর্গ বা বিসর্জন করা কি কুরবানী বলা হয়। কুরবানীর সাথে আকিকা দেওয়া এটি হচ্ছে কোন ধরনের সম্পর্ক নেই কোরবানির সাথে। আমাদের উচিত হবেনা আকিকা দেওয়া।
কোরবানি হচ্ছে আল্লাহর নিকট আমাদের আল্লাহ তাআলার নিকটবর্তী হওয়া কোরবানির উদ্দেশ্যে তা অর্জন করা আমাদের ঈমান আমল ঠিক থাকে কোরবানি আমাদের শিক্ষা দেয় আল্লাহর প্রেমে পূর্ণতা নিয়ে কুরবানী করতে হয় এটি হালাল পশু জবাই করে আমাদের কোরবানির সম্পন্ন হয়ে থাকে। কোরবানি করার সাথে আকিকার কোন সম্পর্ক নেই।
আকিকা দেওয়া হয় ছেলে ও মেয়ে উভয়ের। ছেলে হলে দুইটি আকিকা দিতে হয় ও মেয়ে হলে একটি দিতে হয়। আকিকা দেওয়া যায় গরু ছাগল ইত্যাদি দিয়ে। আকিকা দেওয়াটা প্রত্যেকটা ব্যক্তির জন্যই ওয়াজিব । আকিকা হচ্ছে ছেলেমেয়ে উভয়ের সাত দিনের মধ্যে আকিকা প্রযোজ্য হয়ে থাকে কোন নির্দিষ্ট পশু জবেহ করার মাধ্যমে এটা সম্পন্ন হয়।
কোরবানির সাথে আকিকা দেওয়া যাবে না কারণ কোরবানি হচ্ছে আমাদের আল্লাহর কাছে নৈকট্য লাভের আশায় আমরা কুরবানী দিয়ে থাকি এর মধ্যে আগেকার কোন সম্পর্ক থাকে না। তাই আমাদের উচিত কোরবানির সাথে আকিকা না দেওয়া। কোরবানি করার ফজিলত হলো আল্লাহকে সন্তুষ্ট করার জন্য কোরবানি করা হয়।
হযরত ইসমাইল (আঃ) এর কুরবানির ঘটনা
হযরত ইসমাইল আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর কোরবানির ঘটনা সম্পর্কে আগে বিস্তারিত আলোচনা। হযরত ইব্রাহিম আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর পিতা স্বপ্নে দেখেন যে তার একমাত্র সন্তান ইসমাইল আঃ কে কোরবানি করছেন এবং ইসমাইল আলাই সাল্লাম এর পিতা সালামকে সবকিছু খুলে বলেন এবং ইসমাইল আঃ বলেন আল্লাহ ইচ্ছা আপনি আমাকে ধৈর্যশীল হিসেবে পাবেন।
ইসমাইল আলাই সাল্লাম তার পিতাকে বলেন যে আপনি আমাকে কোরবানি করতে পারেন হযরত ইসমাইল আলাইহিস সাল্লাম তার পিতাকে বলেন যে আপনি আমাকে কুরবানী করেন এর পরিপ্রেক্ষিতে তারা একটি ফাঁকা ময়দানে যায় এবং সেখানে গিয়ে ইসমাইল আলাইহি সালাম শুয়ে পড়েন এবং তার পিতা তার গলায় ছুরি চালাই।
আল্লাহর নৈকট লাভের জন্য ইসমাইল আলাই সাল্লাম এই পরীক্ষায় পাশ হয়ে ইসমাইল আলাইহি সাল্লাম এর পরিবর্তে ১০০ টি দুম্বা কুরবানী হয়ে যায়। এর পরিপেক্ষিতে আমরা বুঝতে পারি যে আল্লাহর উপর ভরসা রাখলে আমাদের কোন ধরনের ক্ষতি হবে না। ইসমাইল আলাই সাল্লাম এর পিতা যদি এই ধৈর্যশীল না তাহলে এই কুরবানী হতো না।
তাই আমাদের উচিত ইসমাইল আলাই সাল্লাম এর ঘটনা থেকে আমাদের শিক্ষণীয় বিষয় হচ্ছে আল্লাহর উপর ভরসা রাখলে আমাদের সবকিছুই সম্ভব। ২০২৪ সালের কোরবানি করার গুরুত্ব অফ ফজিলত সম্পর্কে আজকের এই বিস্তারিত আলোচনার মাধ্যমে আপনাদের বোঝানো হয়েছে যে আল্লাহর রাস্তায় চললে আমাদের জীবনে কোন ধরনের ক্ষতি আসবে না।
কুরবানীর গোশত বন্টনের নিয়ম
কুরবানীর গোশতো বন্ধন এর নিয়ম হচ্ছে একটি কোরবানির মাংস তিন ভাগে ভাগ করতে হয়। এই তিন ভাগে ভাগ করা মাংস এক ভাগ আমাদের আত্মীয়-স্বজন যারা কোরবানি দিতে পারেনি। এক ভাগ দিতে হয় ফকির মিসকিন যারা কুরবানী দিতে পারে না। আর একভাগ নিজেদের পরিবার নিয়ে খেতে হয় তাহলে আল্লাহ তা'আলা কুরবানী কবুল করে থাকেন।
কুরবানীর পশুর চামড়া গোস্ত হাড় আল্লাহ তায়ালার দরবারে কিছুই পৌঁছায় না। পৌছায় শুধু আমাদের ঈমান আখলাক চরিত্র এইসব। কুরবানী অর্থ হলো উৎসর্গ বিসর্জন ও আত্মত্যাগ করা এর মাধ্যমে আমাদের কোরবানির সম্পন্ন হয়ে থাকে। কুরবানী করতে হলে আমাদের অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে যাতে আমাদের পাশের পরিবারগুলো।
আমাদের আশেপাশে অনেক পরিবার আছে যারা কোরবানি করতে পারে না এবং লজ্জায় কারো কাছে গিয়ে বলে না যে আমরা কোরবানি দিতে পারে না এ বিষয়ে আমাদের খেয়াল রাখতে হবে যাতে তাদের বাড়িতে কোরবানির মাংস পৌঁছে দেওয়া হয়। এবং আমাদের বাড়ির আশেপাশে অনেক লোক আছে যারা কোরবানি করতে পারে না।
আমাদের উচিত কোরবানি করার মাধ্যমে আমাদের আল্লাহর কাছে কুরবানীর মাধ্যমে ত্যাগ স্বীকার করা এতে আল্লাহ তাআলা আমাদের উপর খুশি হবেন। আমাদের খেয়াল রাখতে হবে যাতে কোরবানির মাংস আমাদের আশেপাশের পরিবারগুলোকে সবার মাধ্যমে ভাগ করে দিয়ে এই কোরবানি ঈদুল আযহা উদযাপন করা। তাহলে আমাদের কোরবানির সম্পন্ন হবে।
কুরবানীর পশু কেমন হতে হবে
কুরবানীর পশু কেমন হতে হবে কুরবানী করার গুরুত্বপূর্ণ সম্পর্কে বিস্তারিত মধ্যে রয়েছে কুরবানী পশু কেমন হতে হবে কুরবানীর পশু অবশ্যই রোগ বালাই মুক্ত হতে হবে। আর অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে যে কোরবানির পরশু যাতে কোন ধরনের স্পষ্ট কোন রোগ না থাকে। যদি কোন স্পষ্ট কোত থাকে তাহলে এই কুরবানীর পশুকে কুরবানী দেওয়া যাবে না।
আমাদের অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে যাতে কুরবানীর পশুর নিখুঁতভাবে হয়ে থাকে কুরবানীর পশু যদি স্পষ্ট ল্যাংড়া, কানা, কানকাটা হয়ে থাকে তাহলে এই পশু কোরবানির জন্য উপযোগী নয়। এই পশু কুরবানী করলে আমাদের কুরবানী কবুল হবে না কারন আল্লাহ তায়ালা কে খুশি করার জন্য আমাদের এই কুরবানী করতে হয়। তাহলে আমাদের উচিত যাতে কোন ধরনের স্পষ্ট খুত না থাকে ।
আমাদের কে খেয়াল রাখতে হবে যাতে কোরবানির পশু কেনার আগে সবকিছু ভালোভাবে দেখে নেওয়া উচিত কারণ অনেক সময় দেখা যায় যে কুরবানীর গরু ছাগলের মধ্যে মেয়ে ছাগল গরু গুলো অনেক সময় প্রেগন্যান্ট হয়ে থাকে আমরা না জানার কারণে এই পশুগুলোকে জবেহ করে থাকি অনেক সময় দেখে যায় গরু ছাগলের পেটে বাচ্চা থাকে।
তাই আমাদের উচিত কোরবানির পশু কেনার সময় যাতে কোন ধরনের সমস্যা না থাকে এই দিকে খেয়াল রাখা। কুরবানীর পশু হতে হবে স্পষ্ট নিখুঁত তাহলে আমাদের কোরবানি সম্পন্ন হবে কুরবানীর পশু যদি কোন ধরনের রোগ বালাই থাকে তাহলে আমাদের কোরবানি হবে না। আল্লাহ তাআলার নিকট আমাদের কোরবানির কিছুই পাওয়া যাবে না ।
কুরবানির গরুর দাঁত
কোরবানির গরুর দাঁত কুরবানী করার গুরুত্ব ফজিলত সম্পর্কে বিস্তারিত জানানোর মাধ্যমে রয়েছে কুরবানীর গরুর দাঁত কুরবানি গরুর দাঁত অবশ্যই ভাঙ্গা থাকতে হবে এবং গরুর বয়স দুই বছরের বেশি হতে হবে তাহলে আমাদের কোরবানির গরু কুরবানী দেওয়ার জন্য কোনরকম সন্দেহ থাকবে না আমাদের উচিত কোরবানির গরুর দাঁত দেখে কুরবানী করা।
অনেক সময় দেখা যায় কুরবানী জন্য গরুকে প্রস্তুত করার জন্য গরুর দাঁত ভেঙে হাটে নিয়েছে বিক্রি করে চলে যায় এতে করে আমাদের অনেক বড় ক্ষতি হয়ে থাকে কারণ কুরবানির গরুর বয়স ২ বছর না হলে কুরবানীর জন্য এটি হালাল হয় না। তাই আমাদের উচিত সবকিছু পরীক্ষা করে যাচাই-বাছাই করার পরে গরু কিনে কুরবানী দেওয়া।
গরু কোরবানি দেওয়ার সময় আমাদের খেয়াল রাখতে হবে যে গরুতে কোন ধরনের রোগ বালাই যাতে না থাকে এ বিষয়ে আমাদের খেয়াল রাখতে হবে গরুর স্পষ্ট কোন ধরনের রোগ থাকলে সেটি কোরবানির জন্য হালাল হবে না। কোরবানি গরুর দাঁত অবশ্যই দেখে গরু ক্রয় করে গরু কোরবানি করতে হবে বাজারে গরু কেনার সময় অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে যাতে।
আমাদের খেয়াল রাখতে হবে গরু যাতে কোন ধরনের স্পষ্ট রোগ না থাকে। কারণ কোরবানি আল্লাহর উদ্দেশ্যে করতে হয় আর এই কুরবানী যদি আমাদের কোন ধরনের ত্রুটি থাকে তাহলে আমাদের কুরবানী দেওয়া ঠিক না। কুরবানী করতে হবে আল্লাহর উদ্দেশ্যে যাতে আল্লাহ খুশি হয় আমাদের কুরবানী কবুল করে নেয়া। এদিকে আমাদের খেয়াল রাখতে হবে।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url